প্রাচীন যুগ:
- প্রাচীনকালে মানুষ আগুন ব্যবহার, ধাতু নিষ্কাশন, মাটি ও কাঁচ তৈরি, এবং খাদ্য সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন রাসায়নিক প্রক্রিয়া ব্যবহার করত।
- প্রাচীন গ্রিক দার্শনিকরা পদার্থের মৌলিক উপাদান হিসেবে “চারটি মূল উপাদান” (পৃথিবী, জল, বায়ু, এবং আগুন) ধারণাটি প্রস্তাব করেছিলেন।
- প্রাচীনকালে আলকেমি নামে এক ধরনের বিজ্ঞানচর্চা প্রচলিত ছিল, যেখানে ধাতু তৈরি এবং অমরত্বের উপায় অনুসন্ধানের চেষ্টা করা হতো।
মধ্যযুগ:
- মধ্যযুগে আলকেমি ধীরে ধীরে রসায়নবিদ্যার দিকে রূপ নেয়।
- এই সময় আরব বিজ্ঞানীরা রসায়নের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন, যেমন: রাসায়নিক প্রক্রিয়া, পরীক্ষাগার স্থাপন, এবং বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহার।
নবজাগরণ ও আধুনিক রসায়ন:
- নবজাগরণকালে রসায়নের মৌলিক ধারণাগুলি ধীরে ধীরে বিকশিত হতে শুরু করে।
- ফ্ল্যাটিন, বয়েল, এবং ল্যাভয়সিয়ার এর মতো বিজ্ঞানীরা পদার্থের গঠন, বৈশিষ্ট্য, এবং রাসায়নিক বিক্রিয়া সম্পর্কে মৌলিক ধারণা তৈরি করেন।
- ১৮ শতকে ফরাসি রসায়নবিদ আন্তোইন ল্যাভয়সিয়ার আধুনিক রসায়নের ভিত্তি স্থাপন করেন।
- পরমাণু ও অণু সম্পর্কিত ধারণা এবং বিভিন্ন মৌলের প্রতীক ব্যবহারের মাধ্যমে রসায়ন বিজ্ঞান আরও সুসংহত হয়।
- পর্যায় সারণী, রাসায়নিক বন্ধন এবং বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়ার নিয়মকানুন আবিষ্কারের মাধ্যমে রসায়ন বিজ্ঞান আরও উন্নত হয়।
আধুনিক যুগ:
-
বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে কোয়ান্টাম মেকানিক্স এবং আণবিক তত্ত্বের বিকাশের ফলে রসায়ন বিজ্ঞান আরও গভীর ভাবে অনুধাবন করা যায়।
-
জৈব রসায়ন, অজৈব রসায়ন, এবং বিশ্লেষণাত্মক রসায়নের মতো বিভিন্ন শাখায় রসায়ন বিজ্ঞান আরও বিস্তৃত হয়।
-
আজকের রসায়ন বিজ্ঞান ঔষধপত্র, শিল্প, খাদ্য, এবং পরিবেশের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
দীপক ভট্টাচার্য্য “রসায়ন বিজ্ঞানের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস” বইটিতে এই বিষয়টির উপর আলোকপাত করেছেন।
Reviews
There are no reviews yet