লেখকের কৈফিয়ত
সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের পড়ার উপযোগী গল্পের বই লিখেছি। অথচ গল্পের বিষয়বস্তু হিসাবে পদার্থবিদ্যাকে বেছে নিয়েছি। তাও আবার জটিল অ্যাস্ট্রোফিজিক্স আর নিউক্লিয়ার ফিজিক্স ঘেঁষা গল্প।
প্রশ্ন উঠবে, এমন জটিল বিষয়কে কেন্দ্র করে গল্প লিখেছি কেন ? সেই প্রশ্নের জবাব দেবার জন্যই ভূমিকার বদলে কৈফিয়ত লিখেছি।
উন্নত যুক্তি আর বিজ্ঞান নির্ভরতার জোরে মানুষ আজ অন্য প্রাণীদের তুলনায় অনেক বেশি এগিয়ে গেছে। মানুষের এই অগ্রগতি আজও থেমে যায়নি। মানুষের এগিয়ে যাবার গতি ক্রমশ বেড়েই যাচ্ছে।
যুক্তি নির্ভর মানুষেরাই এই মানব জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। যুক্তিবাদী হতে গেলে, তথ্য সংগ্রহ করার দরকার হয়। ভুলভাল তথ্য ব্যবহার করলে যুক্তি নির্ভর মানুষ হওয়া যায় না।
বাংলার কিশোর কিশোরীদের কথা ভেবেই এই বইটা লিখেছি। বিশেষ করে যাদের পক্ষে স্মার্ট ফোন, কম্পিউটার ইত্যাদি ব্যবহারের সুযোগ কম। তাদের পক্ষে সঠিক তথ্য সংগ্রহের সুযোগও কম।
শিশুদের মনে অনুসন্ধিৎসা থাকে। তারা অনেক প্রশ্ন করে। তাদের মন তথ্য সংগ্রহ করতে চায়। মানুষের তথ্য সংগ্রহের পথ খোলা থাকলে তবে তারা যুক্তি নির্ভর মানুষ হয়ে গড়ে ওঠার সাহস পায়।…
Anirban De –
খুব সহজ ও প্রাঞ্জল ভাষায় লেখা, সেইসঙ্গে বিজ্ঞানের তত্ত্ব ও তথ্যের বিশ্বস্ত আকর। বাঙালি বিজ্ঞানপিপাসুদের সবার এগুলো পড়ে নেওয়া উচিত। বিশেষ করে যাঁরা বিজ্ঞানের তথাকথিত ছাত্রছাত্রী নন তাঁদের জন্য এ-বই অপরিহার্য।
সন্দীপ সরকার –
আমার তো ভারী সুন্দর লেগেছে! “মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষাদান” আচার্যদেব বলে গিয়েছিলেন, এই বইটি পড়তে পড়তে প্রত্যেকটি শব্দ বাক্য এবং পাতায় পাতায় সেটি অনুধাবন করতে পেরেছি। ভালো ছাত্র হলেই যে ভালো বোঝাতে পারবেন- অনেক সময় সেটি হয় না, কিন্তু এ ক্ষেত্রে আমাদের প্রিয় লেখক এর মুন্সিয়ানা সেখানেই। জটিল গবেষণামূলক কাজ করলেও খুব সহজ-সরল ভাষায় তাও আবার মাতৃভাষায় বিজ্ঞানের এত জটিল দিকগুলো গল্পচ্ছলে কত সহজেই না তিনি বুঝিয়েছেন- কিশোর শুরু করে বড়দের জন্য সমানভাবে উপযোগী এই বই। ঝকঝকে ছাপা, তার সাথে সুন্দর এবং মজার ছবি- বইটি কে করে তুলেছে আরো আকর্ষণীয়! সব্বাইকে পড়ার জন্য অনুরোধ রাখলাম।
সফি মল্লিক –
এই বইটি আমার খুবই ভালো লেগেছে। চমতকার উদাহরণ । আমার ছাত্র ছাত্রীদের বইটি পড়ার জন্য দিয়েছিলাম। প্রথম দিকের কিছুটা আমি পড়ে শুনিয়েছিলাম, তারপর তারা প্রায় কাড়াকাড়ি করে পড়েছে।